এই যুদ্ধ জেতার যুদ্ধ না: জিগমুন্ট ব্যমানের সাথে আলাপ

পূর্বাভাষ: ৯ জানুয়ারি, ২০১৭ নামজাদা পোলিশ দার্শনিক সমাজবিজ্ঞানী জিগমুন্ট ব্যমান দেহত্যাগ করেছেন। মর্ডানিটি, গ্লোবালাইজেশন, কন্সুমেরিজম ইতি আদি গুরুত্বপূর্ণ তাত্ত্বিক বিষয়ে তাঁর প্রভাব অনস্বীকার্য। সেই প্রভাবের ছাপ আমার ক্ষুদ্র চিন্তা-চেতনার রাজ্যের কোনা-কাঞ্চিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। নিচের তর্জমা খানি তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের সামান্য এক প্রয়াস। Lukasz Galecki কর্তৃক গৃহীত এই সাক্ষাৎকার টি পয়লা প্রকাশিত হয় পোলিশ ন্যাশনাল ডেইলি Rzeczpospolita তে। পরে Alex Shannon তা পোলিশ থেকে ইংরেজিতে ভাষান্তর করেন। এই তর্জমাটি ইংরেজির সংক্ষিপ্ত ভাবানুবাদ। একেবারেই ভাবানুবাদ।

সমসাময়িক বিশ্বব্যবস্থা যে যন্ত্রর-মন্তর ঘর অর্থাৎ গ্লোবালাইজেশনের উপর দাঁড়িয়ে আছে ব্যমান সে ঘরের ভিত্তি চিন্তার ডাইনামাইট মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন এই সাক্ষাৎকারে। আলোচনার সূত্র ধরে মর্ডানিটি, বৈশ্বিক ঝুঁকি, স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা ইস্যু সহ হাল আমলের ঘুম কাড়া বিষয় সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গেও চিন্তা উদ্রেককারী চমকপ্রদ সব ক্রিটিক উঠে এসেছে এই সাক্ষাৎকারে।

গ্লোবালাইজেশন অর্থাৎ বিশ্বায়নের সীমানাকে আপনি নির্ধারণ করেন কিভাবে?

জিগমুন্ট ব্যমান:  বিশ্বায়ন তো কোন এমন ঘটনা না যেটা (তোমার আমার থেকে) বহুত দূরে কোথাও ঘটতেছে। এটা যেমন করে লিডসে ঘটে ঠিক সেভাবেই ওয়ারশ, নিউইয়র্ক আর পোল্যান্ডের ছোট শহরেও ঘটতেছে। এটা তোমার জানলার বাইরেও আছে, তেমনি ভিতরেও। রাস্তায় নামলেই একে দেখা যাবে। গ্লোবাল আর লোকাল জায়গাগুলারে তুমি শুধু বিমূর্ত ভাবে আলাদা করতে পারবা, আদতে এরা সহোদর।

আসল বিপদ হইল, যে গ্লোবালাইজেশনের সাথে আমরা আজ ডিল করতেছি, তা অবধারিতভাবেই খারাপ। বিশ্বায়নের নামে শুধু টাকা-পয়সা, পণ্য, তথ্যাদি, অপরাধ আর সন্ত্রাসবাদ  সম্প্রসারণ করার  প্রতিবন্ধকতা দূর করা হইছে। রাজনৈতিক এবং বিচারিক প্রতিষ্ঠানগুলার সম্প্রসারণ কিন্তু হয় নাই, যা জাতীয় সার্বভৌমত্বের সাথে সম্পর্কিত।…

save
Please login to bookmark Close

Leave a Comment

Scroll to Top

Explore Categorys

Explore pages