
দীপেশ চক্রবর্তী বর্তমান সময়ের অন্যতম বিশিষ্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ পোস্টকলোনিয়াল চিন্তাবিদ। প্রশিক্ষিত ইতিহাসবিদ হিসেবে, তিনি সাবঅল্টার্ন স্টাডিজ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন, যা পোস্টকলোনিয়াল স্টাডিজের অন্যতম মূল কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক। তিনি এই ক্ষেত্রে প্রধানতম দুইটি গবেষণা সাময়িকী যথা: পোস্টকলোনিয়াল স্টাডিজ জার্নালের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এবং Critical Inquiry (ক্রিটিক্যাল ইনকোয়ারি) জার্নালের পরামর্শ সম্পাদক হিসেবেও কাজ করছেন। তিনি তাঁর বই প্রভিনশিয়ালাইজিং ইউরোপ (২০০০) এর জন্য সর্বাধিক পরিচিত, যা বহু ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং আজও বিশ্বব্যাপী ইতিহাসবিদ, দার্শনিক এবং সাংস্কৃতিক সমালোচকদের ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে। এই সাক্ষাৎকারটি ২০২০ সালের গ্রীষ্মে ই-মেইলের মাধ্যমে স্টেফান ভোগট দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। সাক্ষাৎকারটির অনুবাদ ঢাকাজিনে প্রকাশের অনুমতি প্রসঙ্গে অনুবাদক ও ঢাকাজিন সম্পাদনা পর্ষদ যৌথভাবে দীপেশ চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগ করেন। অধ্যাপক দীপেশ চক্রবর্তী অনুমতি প্রদান করে স্বয়ং অনুবাদটির সম্পাদনাও করে দেন এবং তিনি সম্পাদনা পর্ষদকে জানান, “মূল সাক্ষাৎকারটি বর্তমানে গাজায় যে একতরফা জাতিগত নিধনপর্ব চলেছে তার বেশ কয়েক বছর পূর্বে গৃহীত হয়েছিল।”
স্টেফান ভোগট: বইটির সাবটাইটেল ‘পোস্টকলোনিয়াল স্টাডিজ অ্যান্ড দ্যা হিস্টোরিওগ্রাফি অফ জাইয়োনিজম’। ‘পোস্টকলোনিয়াল স্টাডিজ’ অবশ্যই একটি বৃহৎ বিষয় এবং বেশ অস্পষ্ট। ‘পোস্টকলোনিয়াল স্টাডিজ’ কিংবা ‘পোস্টকলোনিয়াল’ ধারণা নিয়ে আপনার জানা শোনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ একটু বলবেন? আপনার মতে এটা কি কোনো সময় বা কাল সংক্রান্ত ধারণা নাকি স্টুয়ার্ট হল যেমন বলেন যে, এটা কলোনিয়ালিজম দ্বারা প্রভাবিত ইতিহাস, সংস্কৃতি, সমাজ বোঝার ক্ষেত্রে কোন নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি? প্রাক্তন কলোনিয়াল সমাজ ও সংস্কৃতিকে দেখার ক্ষেত্রে আপনি কীভাবে এর সীমানা নির্দেশ করেন?
দীপেশ চক্রবর্তী: ‘পোস্টকলোনিয়াল’ ধারণাটি আমার মতে একটি সময় সম্পর্কিত ধারণা আবার তা না-ও। ‘পোস্ট’ শব্দটি তো স্পষ্টতই আগে-পরে জাতীয় সম্পর্কের বিষয়টিকে নির্দেশ করে। প্রশ্ন হলো কোনটা আগে আসে….